আমি সব সময়ই নির্দোষ শিশুদের হত্যার বিপক্ষে, শিশুরা মারা পড়লে আমার কষ্ট হয়, তা সে ফিলিস্তিনের শিশু হোক কিংবা ইসরাইলের।
কিন্তু বাঙ্গু মুমিনরা ভন্ডামিতে পূর্ণ, ইহুদীবিদ্বেষ দ্বারা পূর্ণ।
ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে ফিলিস্তিনের শিশুরা যেমন মারা যায় তেমনি ইসরাইলের শিশুরাও মারা যায়।
ফিলিস্তিনের মতো একই ছবি ইসরাইলেও দেখা যায়।
মুমিনরা ফিলিস্তিনের শিশুদের জন্য সমবেদনা জানায়, কিন্তু তাদেরকে কোনোদিন দেখবেন না ইসরাইলের শিশুদের জন্য এমন সমবেদনা জানাতে শুধুমাত্র এই কারণে যে তারা ইহুদী।
বাঙ্গু মুমিনরা কেন এমন করি জানেন?
কেন ইসরাইলের শিশুদের জন্য আমাদের মন কাঁদেনা জানেন?
কারণ, এই শিক্ষা আমরা আমাদের নবী মোহাম্মদ (সঃ) এর কাছ থেকে পেয়েছি।
রাসুলের সাহাবীরা রাতের বেলা কাফের গোত্রের উপর অতর্কিত আক্রমন করলে ওই গোত্রের নিষ্পাপ শিশুরাও মারা যেতো।
রাতের অতর্কিত আক্রমনে অনিচ্ছাকৃতভাবে নারী ও শিশু হত্যায় দোষ নেই।
সহিহ হাদিস মতে “আবদ ইবনু হুমাইদ (রহঃ) … সা’ব ইবনু জাছছামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা রাতের আধারে অতর্কিত আক্রমণে মুশরিকদের নারী ও শিশুদের উপরও আঘাত করে ফেলি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তারাও তাদের (মুশরিকদের) অন্তর্গত।”
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন): ৪৪০০
অাৎ অতর্কিত আক্রমণে শিশুরা মারা গেলেও এটা দোষের কিছু নয়।
তাহলে রাসূলের উম্মত হিসাবে এখন কোন মুখ নিয়ে আমরা বিশ্ববাসীর সহানুভূতি পেতে চাই?
হামাস জঙ্গিরা পায়ে পাড়া দিয়ে যুদ্ধ বাধিয়ে সাধারণ মানুষকে ঢাল বানিয়ে জিম্মিদেরকে নিয়ে গর্তে ঢুকে পড়েছে।
এই শিশুগুলোর বেঁচেই বা কী হবে ? হয় তারা বড় হয়ে হামাসের জঙ্গি হবে নাহয় তাদের হয়ে মানবঢাল হিসাবে কাজ করবে। যুদ্ধের সময় কোনো সেনা সিভিলিয়ান, নারী, শিশু, বৃদ্ধ হয় না।
যদি যুদ্ধে জেতে তখন আমরা জয়ী পক্ষের নারী , শিশু , বৃদ্ধ দের প্রত্যক্ষ সামরিক কাজে সাহায্যের অবদানের কথা বুক ফুলিয়ে বলি, গর্বিত হই — অর্থাৎ বর্তমান শিশুদের সেই আদর্শে দীক্ষিত করি।
তাহলে প্রতিপক্ষের আক্রমনে যখন সেই শিশু, নারী , বৃদ্ধ মরে তখন কান্নাকাটি কেন ?
হামাস, হিজবুল্লাহ র জঙ্গি রা মঙ্গল গ্রহ থেকে আসে না। ফিলিস্তিনি শিশুরাই বড় হয়ে জঙ্গি দলে যোগ দেয়।
তাহলে আবার সহানুভূতি কিসের ?
হাদিসের রেফারেন্সগুলো
আরও পড়ুন…
বাঙ্গু মুমিনদের সাথে পিনাকীর ভন্ডামি।