আওয়ামী লিগের ছত্রছায়ায় থেকে যে অসংখ্য মানুষ অনৈতিক উপায়ে নিজের আখের গুছোতে সক্রিয় ছিলেন পিনাকী তাদের মধ্যে এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক ।
পিনাকী ভট্রাচার্য মূলত নাস্তিক এক লেখক। তিনি হিন্দু ব্রাহ্মন পরিবারে জন্মালেও নাস্তিকতাকেই ধর্ম হিসেবে নিয়েছিলেন এবং তিনি এক মুসলিম মহিলাকে বিয়েও করেন।
গনজাগরন মঞ্চে বাংলাদেশে ইসলামী মৌলবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে তিনি অনেক বক্তব্য দিতেন এক সময়।
ওনার নেত্রী ছিলেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম। তিনি ইসলামিস্টদের বিরুদ্ধে সবাইকে এক হতে আহবানও জানান সেই সময়ে।
ডা: পিনাকী ভট্রাচার্য আগে এমন ছিলেন না বিিন্ন পরিস্থিতি তাকে আজ এক ডিজিটাল সন্ত্রাসী করে দিয়েছে।
অর্ধ শিক্ষিত ও অশিক্ষিত দেশবাসীর মধ্যে তাঁর এক বড় অনুসারী অংশ তৈরি হয়ে গেছে।
এর বড় কারণ আওয়ামীলিগ তাঁকে বহিস্কার করার পর তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর ভবিষ্যত নিরাপদ করতে চাই রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা যা অতি সহজেই পাওয়া যেতেপারে কট্টর ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়ে।
ভারত বয়কটের ডাক তাই তাঁকে জনপ্রিয়তার উচ্চশিখরে পৌঁছে দিয়েছে। কিন্তু তাঁর মসীলিপ্ত অতীত তাঁর পিছু কোনদিন ছাড়বে না।
বাংলাদেশের একটি ওষুধ কোম্পানী পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালসের চিফ অপারেটিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বরত অবস্থায় তিনি এক ওষুধ কেলেংকারীতে জড়িয়ে পড়েন।
২০০৮ সালে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।
দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে তিনি সেই সময়ে WHO থেকে ফান্ডিং করা একটি প্রজেক্টে কালাজ্বরের ওষুধের দায়িত্ব নিজের ওষুধ কোম্পানী পপুলারকে দেন এবং ভুয়া ক্যাপসুল বানিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।
ক্যাপসুলে ওষুধ না দিয়ে তিনি ময়দার গুড়া ক্যাপসুলে ভরে সেই ওষুধ সরবরাহ করেন।
পরে যখ ওষুধ কার্যকর প্রমানিত হয় তখন সরকার দেশের পরিবর্তে জার্মানীর এক ওষুধ কোম্পানীর মাধ্যমে কালাজ্বরের ওষুধ সরবরাহ করে রোগীদের সুস্থ করে।
এরপরে পিনাকীর পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালসের এক জীবন রক্ষাকারী ইনজেকশনের ভিতরে কালো কালো ফরেন পার্টিকেলস পাওয়া যায়।
এই ওষুধ পরে সরকার নিষিদ্ধ করে এবং পিনাকীকে জবাবদিহি করতে বলা হয়।
পিনাকী এই ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করলেও পরে এসব ওষুধ কেলেংকারীতে পিনাকী অঢেল সম্পত্তির মালিক হওয়ার প্রমান পাওয়া গেলে পিনাকীকে তখন আওয়ামী লীগ থেকে ওষুধ শিল্পে ভয়াবহ দূর্নীতির অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়।
পিনাকী এক সময় শিক্ষকতার সাথেও জড়িত ছিলেন। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এআইইউবি’তে তিনি শিক্ষকতা করতেন।
পরে পিনাকীর ভয়াবহ দূর্নীতির কেলেংকারী প্রকাশ হওয়াতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও তাকে বহিষ্কার করে।
সব কিছু হারিয়ে পিনাকী ভট্রাচার্য বিদেশে গা ঢাকা দেন। বর্তমানে তিনি ফ্রান্সে শরণার্থীর স্ট্যটাসে আছেন ৷
দেশের ক্ষতি করে বিদেশের মাটিতে গিয়ে এখন সরকারের বিষাদগার করাকেই নিজের পেশা হিসেবে নিয়েছে এই শয়তান।
ইতিমধ্যে পিনাকী ভট্টাচার্য পালকের রং পাল্টিয়ে হয়ে উঠেছিলেন একজন অনলাইন মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক কর্মী।
যিনি বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার সম্পর্কে তীব্র সমালোচনা করে লেখালেখি করেন।
তিনি 2018 সালে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের দ্বারা আটকের ভয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং তিনি এখন ফ্রান্সে থাকেন যেখান তিনি কজন শরণার্থী।
দেশের স্বাধীনতাকামী নেতার সমালোচনা করে লেখা একটি বইয়ের সেন্সরশিপ নিয়ে তিনি নেত্র নিউজের জন্য একটি নিবন্ধও লিখেছেন।
এর আগে তিনি একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস লেখেন যে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশে তার পরিবার ৷
এই বক্তব্যটি নিচে দেওয়া হল ।
”গতকাল একদল পুলিশ বগুড়ায় আমার বাবার বাসায় গিয়ে আমার বৃদ্ধ মা ও কাকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
ঢাকায়, পুলিশের আরেকটি দল, যারা বলেছিল যে তারা মিরপুর মডেল থানার, তারা আমাদের বাসভবনে নেমেছিল।
তারা আমার স্ত্রীকে বাড়িতে খুঁজে না পাওয়ার পর, একজন পুলিশ কর্মকর্তা গতকাল তাকে তার মোবাইলে ফোন করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
বগুড়ায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশ সদস্যরা সেখানে আমার কোনো সম্পত্তি আছে কি না, ফ্রান্সে আমি কী করি, কীভাবে জীবিকা নির্বাহ করি, বা আমার জীবনযাত্রার ভরণ-পোষণ ইত্যাদি জানতে চেয়েছেন।
তারা আমার অনেক আত্মীয়ের যোগাযোগের বিবরণও নিয়েছিল।
পুলিশ অফিসার, যিনি আমার স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন, তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি কোন ক্লিনিক বা হাসপাতালে একজন ডাক্তার হিসাবে কাজ করেছেন এবং যদি এবং কীভাবে তিনি আমার সাথে যোগাযোগ বজায় রাখেন।
অফিসারটি আমার স্ত্রীকে আরও বলেছিল যে সে তার কাছ থেকে আমার সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য পেতে চায়।
তবে দুর্বল সংযোগের কারণে মোবাইল কথোপকথন অর্ধেক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আমি নিশ্চিত, পুলিশ খুব শীঘ্রই আমার স্ত্রীর সাথে আবার যোগাযোগ করবে এবং তাকে হয়রানির চেষ্টা করবে।
আমি বুঝতে পারছি বাংলাদেশ পুলিশ মাকে ধরে াইছে।
কিন্তু, এর জন্য তারা কেন আমার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ বা হয়রানি করবে?
আমি পুলিশ সহ কর্তৃপক্ষকে বলতে চাই যে তারা যদি আমার সম্পর্কে তথ্য পেতে চায় তবে আমি ফ্রান্সে থাকাকালীন আমার কাছে পৌঁছানোর উপায় আছে।
আপনারা আমার ফেসবুক ইনবক্সে একটি বার্তা পাঠাতে পারেন, আপনারা চাইলে ফ্রান্সে আপনাদের দূতাবাস আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
আপনারা এমনকি ফরাসি সরকারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনারা যদি আমার সক্রিয়তায় বিরক্ত বোধ করেন, চাইলে আমার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারেন।
কিন্তু আমার পরিবারের সদস্যরা কি কোনোভাবেই আমার সক্রিয়তার সঙ্গে যুক্ত ? কেন তাদের হয়রানি করছেন?
আপনারা বাংলাদেশে যেভাবে হয়রানি করছেন, বিশ্বের কোথাও কি কোনো কর্মীর পরিবারের সদস্যরা হয়রানির শিকার হয়েছেন?
সশস্ত্র সংগ্রামের সময়, বাংলাদেশের জন্মের ঠিক আগে, বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের প্রধান নেতা শেখ মুজিবের পরিবারের সদস্যদের নিরাপদে রেখেছিল। আমি ফ্রান্সের একজন রাজনৈতিক উদ্বাস্তু।
আমি বাংলাদেশে নিরাপত্তার অভাব বোধ করেছি এবং আমি আমার জীবনের ভয় পেয়ে দেশ ছেড়েছি।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার কর্তৃক সংঘটিত গুম, ক্রস ফায়ার হত্যা এবং অন্যান্য মানবাধিকার
লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আমার আওয়াজ তোলার অধিকার আমার আছে।
শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে কথা বলার রাজনৈতিক অধিকার আমার আছে।
বাংলাদেশে আমার ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে- এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার অধিকার আমার আছে। আমার কণ্ঠ চেপে রাখার অধিকার আপনাদের নেই।
আমার সকল কর্মকান্ড মানবাধিকারের স্বার্থে। আমাকে সক্রিয়তা থেকে দূরে রাখার জন্য আপনি আমার পরিবারের সদস্যদের উপর অন্যায় চাপ দিচ্ছেন।
এটা নিপীড়ন। এা নৈতি।
আমি আশা করি মানবাধিকার গোষ্ঠীসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আমার পরিবারকে বাংলাদেশে নিরাপদে থাকতে সাহায্য করার জন্য হস্তক্ষেপ করবে। ”
পিনাকী কোনো ইসলামের সেবকও না। হিন্দুদেরও কেউ না।
হিন্দু ধর্ম থেকেও বাতিল হয়ে গেছেন তিনি। তাকে হিন্দুরাই সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করে এবং তাকে দেশ বিরোধী এক চক্রের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী হিসেবে দেখে বাংলাদেশি হিন্দুরা।
আপাদ দৃষ্টিতে মুসলমানরা এই বিতাড়িত হিন্দু ব্রাহ্মনের প্রতি দূর্বলতা দেখালেও পিনাকীর অতীত বলে যে, সে ভয়াবহ ইসলাম বিদ্বেষী এক লোক।
যে কিনা এখন পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ইসলামের সেবক ও ভারত বিদ্বেষী সেজে বসে আছে।
পিনাকীর মতো লোকেরা নিজেদের অপরাধ ঢাকতে ধর্মীয় অনুভূতিতে কাতুকুতু দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করছে।
তাকে বাংলাদেশ সরকার খুঁজছে। পিনাকী দেশে ফিরলেই গ্রেপ্তার হবে।
পিনাকী ভট্টাচার্য না ইসলামিস্ট না হিন্দু। তিনি কমিউনিস্ট ছিলেন পূর্বে। বর্তমানে তিনি ডাবল এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন।
এটা বাংলাদেশের অনেক ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে।
মুসলমানদের পক্ষে কথা বললেই কেউ ইসলামিস্ট হয়ে যায় না।
তার যদি ইসলামকে সবচেয়ে ভাল ধর্ম মনে হত তাহলে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে ইসলামের সাহাদা কবুল করে নিতেন। কিন্তু তিনি তা করেন নি, আর জীবনে করবেনও না।
এভাবে মুখোশ পরে অশিক্ষিত মূর্খদের বোকা বানিয়ে তার ভিউ ব্যাবসা চালিয়ে যাবে।
র্জ বুশও বলেিলো ইসলাম মানে শান্ি। পৃথিবীর মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার সবচেয়ে ভাল অস্ত্র হল মুখের শব্দ।
তাই কোন ব্যাক্তি অনলাইনে এসে কিছু বললেই ভাববেন না যে এটা সে বিশ্বাস করে। বরং এটা তাকে দিয়ে কেউ করিয়ে নিচ্ছে।
পিনাকীর পাসপোর্টে বাংলাদেশের সুরক্ষা এজেন্সি রেড সিল মেরে দেয়। তারপরও সে কিভাবে ভারত হয়ে ফ্রান্স গেল? ইন্ডিয়ান এজেন্সিগুলো ঘাড় ধরে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর কথা ছিল। ইন্ডিয়ান এজেন্সিগুলো তাকে সেইফ exit কেন দিয়েছে সেটি চিন্তার বিষয়।
এগুলোর উত্তর বিভিন্ন ব্যাক্তি বিশেষ বিভিন্ন সময়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের সাংবাদিক তাসনিম খলিল, আর্টিস্ট কিশোর, পিনাকীর এক্স গার্লফ্রেন্ড নাদিয়া ইসলাম যাকে তিনি নেংটা ছবি পাঠাতেন ভদ্রমহিলা সেটা FB পোস্টও করেছে তারা বিভিন্ন সময়ে পিনাকী ভট্টাচার্যকে নিয়ে লিখেছে।এগুলো ঘাটলেই উত্তর পেয়ে যাবেন।
3 comments
[…] […]
[…] ভারত বয়কটের উদ্গাতা পিনাকী ভট্টাচার… […]
[…] ভারত বয়কটের উদ্গাতা পিনাকী ভট্টাচার… […]