কংগ্রেসকে নিয়ে বিএনপি কি ভাবে?
আমি সবসময় বলি বিএনপি হইল মোটামাথার লোকেদের রাজনৈতিক দল। তারা পৃথিবীর প্রতিটি বিষয়কে অতি সরলীকরণ করে।
এই দুই ভদ্রলোককে আমরা সবাই চিনি:
প্রথমজন হইল মুশফিকুর ফজল আনসারি ও দ্বিতীয়জন সাহেদ আলম।
তারা দুইজনই মনে করে রাহুল গান্ধীকে কনভিন্স করে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের উপর ভারতের বাই পার্টিসান সাপোর্ট কমানো যাবে।কারন তাদের দৃষ্টিতে রাহুল গান্ধী নাকি ভারতের গনতন্ত্রের কান্ডারি।
এদের দেখলেই বুঝা যায়, সংখ্যা ও লোকবল বেশি হওয়ার পরও কেন জামাতের হাতে বিএনপি চু-দ-ন খাচ্ছে।
রাহুল গান্ধী কখনো ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে উনার উপদেষ্টামন্ডলীতে থাকবে শিবশংকর মেনন।
আওয়ামী লীগ একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে প্রনব মূখার্জির পর যে ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি দায়ী তিনি হইলেন এই টাকলু মেনন।উনার সহায়তা ছাড়া আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন করতে পারত না।
বাংলাদেশের মানুষ পর্দার সামনে থাকা সুজাতা সিং কে দেখেছে কিন্তু পর্দার পেছনের টাকলু মেননকে দেখে নাই।ভারতে যদি প্রনব মূখার্জির পর উপমহাদেশের ভূরাজনীতি ভালো বুঝে সেইটা হইল এই টাকলু মেনন।
এছাড়া বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোন দল ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেসের ভোটের রাজনীতির জন্য খারাপ।ভারতের কংগ্রেস ঘরানার সবচেয়ে বড় বুদ্ধিজীবী হইলেন রামচন্দ্র গুহ।উনার মতে ভারতে হিন্দুত্ববাদী শক্তির উত্থানের বড় কারন পাকিস্তান ও বাংলাদেশে ইসলামপন্থার উত্থান।
তাহলে বাংলাদেশে যদি দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকে সেইটা ভারতের স্যাকুলার রাজনীতির জন্য নেতিবাচক।যারা এতদিন ভারতের বু্ধিবৃত্িক গতে নেরেটিভ দিসেন যে, দ্বিজাতিতত্ত্ব ১৯৭১ এ বাংলাদেশে নিহত হয়েছে সেই নেরেটিভ ধ্বংস হয়ে গেছে ২৪ এর অভ্যুত্থানের পর যখন বাংলাদেশে ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।তাহলে কিভাবে ভারতের স্যাকুলার ও বামপন্থী বুদ্ধিজীবীরা সাধারণ ভারতীয় জনগণকে বোঝাবে যে, দ্বিজাতিতত্ত্ব একটি ভ্রান্ত ধারনা।
ঠিক এই কারনে এবার আমেরিকা গিয়ে মার্কিন আইনপ্রনেতাদের সঙ্গে মিটিং এ রাহুল গান্ধী বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সুরক্ষা প্রসঙ্গ তুলেছেন।
এর মানে এই না রাহুল গান্ধী বাংলাদেশের হিন্দুদের ভালোবাসেন।তাকে এই বিষয়ে কথা বলতে হইছে কারন বাংলাদেশে উদারপন্থী রাজনীতি না থাকলে ভারতে কংগ্রেসের নৈতিক অবস্থান বা তাদের তৈরি অনেক নেরেটিভ প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
তাহলে এইখানে বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক অর্ডার কি?
বিএনপির যত অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা রয়েছে তাদের অধিকাংশ ভারতকে ঘৃণা করে। তারা সিভেন সিস্টারের স্বাধীনতাকামীদের সহায়তা কট্টর সমর্থক।
তাহলে কিভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক দল মনে করে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে?
মাহফুজ আলম গতকালও বলেছে সরকার সার্কের পক্ষে কাজ করবে।এই সিদ্ধান্ত নিজেই ভারতের সম্রাজ্যকে ভূরাজনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জ করার সামিল। সুতরাং ভারতের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ছাড়া কোন রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক ভালো হবে না।
তা কোন সুারপায়ারের সঙ্গে চুক্তি করে ভারতকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে দেওয়া বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো নীতি হবে।
1 comment
[…] […]